তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের সরকারি সূত্রে জানা গেছে, মূল চুক্তির ব্যয়ের পরিমাণ ১২.৮৮ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানোর জন্য বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ (বিএইচটিপিএ) একটি প্রস্তাব দিয়েছে।
বিএইচটিপিএ সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় ১৬২.৮২ একর জমিতে প্রকল্পটির নির্মাণ কাজ হাতে নেয় ও এলাকাটির ভূমি উন্নয়নের কাজ করে।
বাংলাদেশ নৌ-বাহিনী পরিচালিত ডকইয়ার্ড অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস লিমিটেড (ডিইডব্লিউএল) ১৩৩.১৯ কোটি টাকা ব্যয়ে হাই-টেক প্রকল্পের অবকাঠামো উন্নয়নের কাজ করছে।
প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ডিইডব্লিউএলকে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে (ডিপিএম) প্রকল্পটির অবকাঠামো নির্মাণ কাজের জন্য নির্বাচিত করা হয়েছিল। ফলে তাদের কোনো দরপত্র (টেন্ডার) প্রক্রিয়ায় প্রতিযোগিতা করার প্রয়োজন হয়নি।
কিন্তু সম্প্রতি ডিইডব্লিউএল তার চুক্তি ব্যয় বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে। এটি বলছে, প্রস্তাবিত ভূমি উন্নয়নের জন্য আরও ৭৮,০৮৮ ঘনমিটার মাটি এবং ৮,৪৮,৮০০ ঘনমিটার বালু লাগবে।
তবে জরিপের পর, ডিইডব্লিউএল কর্তৃপক্ষ ৪৭,৭৬৪ ঘনমিটার মাটি এবং ৪,৪০,১৭৮ ঘনমিটার বালুর পরিমাণ কমিয়ে প্রস্তাবটি সংশোধন করে এবং চুক্তির ব্যয় ১২.৮৮ শতাংশ বা ১৭.১৫ কোটি টাকা পর্যন্ত বাড়ানোর প্রস্তাব করে।
আইসিটি বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, চুক্তির মূল্য বাড়ানোর বিষয়ে অনুমোদনের জন্য বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের প্রস্তাব তারা সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিপরিষদ কমিটির কাছে পাঠিয়েছে, কারণ একই কমিটি মূল চুক্তিটির অনুমোদন দিয়েছিল।
তারা জানান, মন্ত্রিপরিষদ কমিটি প্রস্তাবিত অতিরিক্ত খরচ অনুমোদন করলে, সিলেট হাই-টেক পার্ক প্রকল্পের ভূমি উন্নয়ন খরচ ১৩৩.১৯ কোটি টাকার মূল চুক্তি ব্যয় থেকে ১৫০.৩৫ কোটি টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি পাবে।
২০১৬ সালের ৮ মার্চ জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদন পাওয়া সিলেট হাই-টেক পার্ক নির্মাণ প্রকল্প হাতে নেয় বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ। ২০১৮ সালের মধ্যে যার আনুমানিক ব্যয় ধরা হয়েছিল ১৮৭.১২ কোটি টাকা।
কিন্তু দুই বছরের মধ্যে ২০১৮ সালের ৭ আগস্ট অনুষ্ঠিত একনেকের সভায় প্রকল্পটির আনুমানিক খরচ ২৯০.২৫ কোটি টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়, যার মধ্যে রয়েছে ভূমি উন্নয়ন, সেতু নির্মাণ, সীমানা প্রাচীর, প্রবেশপথ নির্মাণ, প্রশাসনিক ভবন, বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ, পয়োনিষ্কাশন লাইন, গ্যাস লাইন, ইউটিলিটি ভবন এবং ফাইবার অপটিক তারের স্থাপন ব্যয়।
কর্তৃপক্ষ আশা করছে, সিলেট হাই-টেক পার্ক নির্মাণের মাধ্যমে বিশ্বমানের বিনিয়োগ পরিবেশ এবং সুযোগ সুবিধাদি সৃষ্টির মাধ্যমে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের তথ্য প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান এবং ডেভেলপার প্রতিষ্ঠানকে আকৃষ্ট করা যাবে। ফলে আইসিটি পেশাজীবীদের জন্য অনেক চাকরির ক্ষেত্র তৈরি হবে। দেশের শিল্পক্ষেত্রে এক নতুন দিগন্তের সূচনা হবে।